যাই হোক, এযাবত আপনাদের আমি অনেক ভর্তার রেসিপি দিয়েছি, মোটামুটি আমাদের দেশের প্রায় সকল কমন ভর্তার রেসিপি দেয়া হয়ে গেছে তবে আমাদের দেশে এমন ভর্তা অনেক পদের ভর্তা আছে যা আমি এখনো খাই নাই বা বানাই নাই। আমি আশা করি আগামীতে আমি আরো ভর্তার প্রতি যত্নবান হব এবং আপনাদের আরো আরো ভর্তার রেসিপি দিতে পারবো।
এই সুত্রে চলুন আজ একটা ভর্তার রেসিপি দেখে ফেলি, মনে হচ্ছে এই ভর্তা আপনারা অনেকে এখনো খেয়ে দেখেন নাই (কারন এটা কমন হয়ে উঠে নাই), এই ভর্তার রেসিপি পেলে আশা করি আপনারা বানিয়ে খাবেন এবং ভর্তার মজা উপভোগ করবেন।
উপকরনঃ
– কিছু খোসা ছাড়ানো বাদাম (রাস্তার ধারের বাদাম ভাঁজা কিনে নেয়াই উত্তম)
– কিছু পেঁয়াজ কুঁচি
– কিছু রসুন কুঁচি
– কাঁচা মরিচ, ঝাল বুঝে
– লবন, পরিমান মত
প্রনালীঃ

বাদাম বালু দিয়েই ভাঁজা উচিত তবে ঠেকার কাম এভাবে চালিয়ে দিতে পারেন।

বাদাম কেমন ভাজলেন তার উপর নির্ভর করবে এই ভর্তার স্বাদ। তবে আমি মনে করি আপনি রাস্তার ধারের বাদাম ভাঁজা কিনে নিলেই ভাল হবে, নতুবা বাদাম একটু বেশী ভাঁজা হয়ে গেলে বাদামের স্বাদ ভিন্ন হয়ে যেতে পারে। আপনি নিশ্চয় জানেন যে, বাদাম একটু বেশী ভাঁজা হয়ে গেলে একটু তিতা স্বাদ এসে পড়ে। তাই আপনি রাস্তার ধারের সুনিপুন বাদাম ভাঁজা কিনে নিতে পারেন।

খোলায় পেঁয়াজ কুঁচি, মরিচ এবং রসুন টেলে নিন। মরিচের মাথা ফালি করে দেবেন নতুবা ফুটে উঠবে। সাবধানে।

নাড়িয়ে মাধ্যম আঁচে ভাল করে পুড়িয়ে নিন।

এবার বেটে নিন।

মিহীন করে বাটা অবশ্যক।

এবার সামান্য লবন যোগে (পরিমান কম দিন, পরে স্বাদ দেখে দেয়া যাবে) বাদাম বাটুন।

এক বাটা দিয়ে মশিয়ে নিন। (যদি বেশী শক্ত হয় তবে কয়েক ফোটা বা এক চামচ পানি দিয়ে নিতে পারেন, বেশী নয়, বেশী দিলে স্বাদ নষ্ট হয়ে যাবে)

আবার মিহিন করে বাটুন, ফাইন্যাল লবন স্বাদ দেখুন, লবন লাগলে দিন। স্বাদ দেখুন।

ব্যস, পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।

আসুন, গরম ভাত নিয়ে বসুন। আমি নিশ্চিত খেয়ে আপনাকে বলতেই হবে